রেইনকোট গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়

রেইনকোট গল্পটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী সংক্রান্ত গল্প যেখানে একজন শিক্ষক তার ও তার শ্যালকের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কিছু আংশিক অংশ তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে তীব্র বর্ষার মধ্যে পাক বাহিনীর বাঙালির উপর আক্রমণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি সেই সময় যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার মাটিকে নিজের দখলে নিয়েছে মাতৃভাষা বাংলাকে পরিবর্তন করে উর্দু করতে চেয়েছিল। 

সেই সময় বাঙালির বিয়ের সন্তানরা মাতৃভাষা বাংলাতে রক্ষার জন্য পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই গল্পটিতে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্য তাদের কোয়ার্টারে বোমা হামলা চালাই। যার খবর পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা অনেক নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করে এবং অনেককে ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার শুরু করে। 

এই গল্পে লেখক নিজেই শিক্ষকতার পেশা অবলম্বন করে সম্পূর্ণ গল্পটি সাজিয়েছেন। গল্পের শিক্ষক তার স্যালক মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে সব সময় ভয়ে থাকতেন। এই বুঝি তার শ্যালকের কারণে তাকে সহ তার পরিবারকে পাকিস্তানে বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ফেলল। যার কারণে যখন তার চাল ক তার বাড়িতে আসত তখন সে খুব ভয়ে ভয়ে থাকতো। এমন সময় স্কুলের পিয়ন তার বাড়ির দরজায় নক করলে তিনি খুব ঘাবড়ে যান এবং পাঁচ কালেমা পড়তে থাকেন। 

কিন্তু পিয়ন তাকে ডাকতে এসেছিল মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর ডে রাতে হামলা করেছিল তার খোঁজ খবর নিতে। এ হামলায় তার সেলোকো জড়িত ছিল। যার কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে সহ আরো কয়েকজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানার কথা বলতে বলেন। কিন্তু তিনি যখন বুঝতে পারেন যে পার্সেল ও একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সে দেশের জন্য যুদ্ধ করছে তখন তার মনের ভয় কেটে যায়। 

পাকিস্তানি বাহিনীরা তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটালেও তিনি কোনরকম আঘাত বুঝতে পারেন না। তাদেরকে পাকিস্তানী বাহিনী অত্যাচার করে মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানার কথা জিজ্ঞেস করলেও তারা শুধু একই কথা বলতে থাকে তারা তাদের ব্যাপারে সবকিছুই জানে কিন্তু তাদের কোন কিছুই বলবে না।